ভ্রমন, ব্যবসা, পড়ালেখা, চাকরি, চিকিৎসা বা যেকোন প্রয়োজনে আমাদের প্রায়শই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গমন করতে হয়; সে উদ্দেশ্যে পূর্বশর্তগুলোর একটি হল পাসপোর্ট। পাসপোর্ট তৈরির প্রক্রিয়া এক সময় ছিল খুব জটিল এবং সময়সাপেক্ষ। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সাথে পাসপোর্ট তৈরির পদ্ধতিও আধুনিক হয়েছে। এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই পাসপোর্ট তৈরির প্রাথমিক ধাপগুলো সেড়ে ফেলা যায়। অন্যদিকে, দালালের খপ্পরের হাত থেকেও বাঁচাতে পারি। অর্থাৎ পাসপোর্ট তৈরির অনলাইন প্রক্রিয়ায় অর্থ ও সময়- দুটোই বাঁচাতে পারি। এই লেখাটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাসপোর্ট তৈরির পর্যায়ক্রমিক উপায়ের বর্ণনা নিয়ে সাজানো।

আপনার করণীয়:-

* পাসপোর্ট ফর্ম পূরণের জন্য এখানে log in করুন।

* Home page ওপেন হবে।

* পাসপোর্ট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্যের জন্য হোম পেজের ডান পাশে অবস্থিত Service box-এ Apply online for mrp অংশে ক্লিক করুন।

* এরপর Continue to online enrollment ট্যাবে ক্লিক করে Online Application Form-টি আনতে হবে। লক্ষণীয়, ফর্মটিতে বেশ কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে। তথ্যগুলো সঠিকভাবে প্রদান করুন।

* ফর্মটির উপরের অংশে Delivery Type-এর নিচে Supporting Document নামে একটি বক্স আছ। বক্সটি সর্ব সাধারণের জন্য নয়। এটি পূরণ করবেন শুধুমাত্র সরকরি কর্মকর্তা-কর্মচারী, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী, অবসরপ্রাপ্ত সরকরি চাকুরিজীবী।

* সাধারণ নাগরিকগন Passport Type অংশের Ordinary অংশ সিলেক্ট করবেন।

* ৩০ দিনের ভেতর পাসপোর্ট চাইলে Delivery Type অংশে Regular এবং ১৫ দিনের ভেতর চাইলে Express অংশ নির্বাচন করুন।
এবার online ছেড়ে ঘরের বাইরে নামার পালা-

পাসপোর্ট করার জন্য আগে থেকেই সরকার নির্ধারিত ব্যাংকে পাসপোর্ট ফি’র সমুদয় অর্থ ব্যাংকে জমা দিয়ে রশিদ কেটে রাখতে হয়। রশিদটি সযত্নে সংরক্ষণ করতে হয়।

এরপর আপনাকে আবার ইন্টারনেটে কিছু কাজ সাড়তে হবে।

* আগের ঐ ঠিকানায় একটি নতুন ফর্ম পাওয়া যাবে। ফর্মটিতে ব্যাংক রশিদের নম্বরটি বসাতে হবে।

* ভালভাবে দেখে নিন, আপনার দেওয়া সব তথ্য সঠিক আছে কিনা। সব তথ্য ঠিক থাকলে ফর্মটির একটি প্রিন্ট কপি বের করে আপনার নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিসে চলে যান। রাজশাহী পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস

* আবেদনপত্রটি দায়িত্বরত কর্মকর্তা কতৃক ভেরিফিকেশন করাতে হবে। দায়িত্বরত কর্মকর্তা আবেদন পত্রটি ভালভাবে যাচাই করে সিলসহ স্বাক্ষর দেবেন।

* পাসপোর্ট অফিসে কতগুলো বুথ খোলা আছে। এর যে কোন একটিতেই আবেদন পত্রটি জমা দেওয়া যেতে পারে।

* আবেদন পত্রটি যখন জমা দেওয়া হয়, ওখানকার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তার কম্পিউটারে ফর্মে প্রদত্ত তথ্যগুলো এন্ট্রি করে রাখবেন।

* ঐ দায়িত্বরত কর্মকর্তার কাছ থেকে আপনি একটা টোকেন পাবেন।

* টোকেন এবং আবেদনপত্রটি সাথে নিয়ে ছবি তোলার জন্য পাসপোর্ট অফিসের একজন নির্ধরিত কর্মকর্তার কাছে যেতে হবে।

* জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য কীভাবে ছবি উঠানো হয়েছিল, মনে আছে নিশ্চয়ই। ঠিক একইভাবে নির্দিষ্ট সাইজের ছবি তোলা হবে। উল্লেখ্য পাসপোর্টের জন্য যে কোন ধরনের সাদা পোষাক গ্রহণযোগ্য নয়।

* যে কোন অপরেটরের মোবাইল সিম কার্ড কেনার জন্য যেমন ইলেক্ট্রিক মেশিনে দুই হাতের আঙুলের ছাপ দিতে হয়, ঠিক একই পদ্ধতিতে আপনাকে দুহাতের আঙুলের ছাপ দিতে হবে।

* এরপর আপনাকে একটি ইলেক্ট্রনিক স্বাক্ষর করতে হবে।

* পুরো পক্রিয়াটি শেষে কতৃপক্ষ আবেদনপত্র জমা রেখে পাসপোর্ট সংগ্রহের তারিখ ও সময় জানিয়ে দেবেন। পাসপোর্টটি সংগ্রহের জন্য আপনাকে একটি ডকুমেন্ট সরবরাহ করা হবে।

* আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় আবেদনকারীকে অবশ্যই স্বশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে। কিন্তু পাসপোর্ট উত্তোলনের সময় এই বাধ্যবাধকতা প্রযোজ্য নয়।

* আপনি নির্ধারিত তারিখে পাসপোর্টটি সংগ্রহ করতে পারবেন কিনা তা অনলাইনে জেনে নিতে পারবেন।

আরও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: এখানে

Source: Link