সিফাত সবে এসএসসি পাস করেছে। থাকে মফস্বলের পল্লী একটি গ্রামে। বাবা আতিক সাহেব মধ্য বয়সী একজন চাকুরীজীবী। মা ভাই বোন নিয়ে পাঁচ সদসস্যের একটি সংসার। বাবার হার্টের সমস্যা রয়েছে। মা’র রয়েছে ডায়াবেটিস। তাই বড় ছেলে হয়ে একটি অজানা আতংক সব সময় তাড়া করে ফেরে সিফাতের মনে।
সেদিন ছিল ভ্যাবসা গরম। আম কাঁঠাল নেমেছে কেবল। অফিস থেকে ফেরার পথে আতিক সাহেব ভাবলেন বাজারটা একটু ঘুরেই যাই আর চোখের সামনে সাজানো থরে থরে আম কাঁঠালের পসরা দেখে লোভ সামলাতে পাড়লেন না তিনি। তাই, দেখে-শুনে নিয়ে নিলেন একটি মস্ত সাইজের কাঁঠাল।
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমেছে তখন, আতিক সাহেব পুরো পরিবার নিয়ে খুব আয়েশ করেই কাঁঠালটি খেলেন। ঘটনা ঠিক তখনি শুরু! ভ্যাবসা গরম আর সদ্য চিবানো কাঁঠালের রি-একশনে আক্রান্ত হলেন হিট স্ট্রোকের! বাসায় পড়ে গেল কান্নার রোল। প্রতিবেশী জমে গেল সাথে সাথেই। কিন্তু আতিক সাহেবের প্রান বায়ু তখন যায় যায়। এতক্ষণে সিফাত যেন বুঝতে পারছিলনা কিছুই। কি করা যায়, কি করলে ভালো হয়- এমন ভাবনা করতে করতেই হঠাৎ মনে পরে গেল তাঁর “রাজশাহী অ্যাড” এর কথা। সাথে সাথেই মোবাইলটা বের করে এ্যাম্বুলেন্স প্রাপ্তির লিংকটা দেখে খুব সহজেই পেয়ে গেল সব কল নাম্বার। সেই সাথে পেয়ে গেল নিকটবর্তী ক্লিনিকের ঠিকানা এবং একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। সে যাত্রায় বেঁচে গেলেন আতিক সাহেব, বেঁচে গেল একটি পরিবার যা সিফাতের তাৎক্ষনিক বুদ্ধিমত্তায় সম্ভব হয়েছে। অথচ আমরা জানিনা কত পরিবার আতিক সাহেবের মত শুধু মাত্র সময় মত একটি ডাক্তার, এ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকের তথ্যের অভাবে অবলীলায় জীবন দিতে হচ্ছে। আসুন আমরা সবাই রাজশাহী অ্যাড কে জানি, সবাইকে জানাই আর নিজে ভালো থাকি সেই সাথে ভালো রাখি পুরো সমাজকে!
লিখেছেনঃ M R Khan Sumon